স্ত্রীকে ভালোবাসুন। অসম্ভব রকমের ভালোবাসুন। কর্মক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করুন, সাহায্য করুন আর জিতে নিন আপনার জন্য আবে জান্নাতের নির্ধারিত পেয়ালাটি।
রাসূল স. স্ত্রীকে ভালোবাসতেন। সবার থেকে বেশী ভালোবাসতেন। স্ত্রীদের কখনো কষ্ট দিতেন না।
নরম ভাষায় কথা বলতেন।
ঘরের কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করতেন।
স্ত্রীর কাজে কখনো ভুল ধরতেন। অপছন্দনীয় কোনও কাজ করলে বুকে টেনে নিয়ে কৌশলে বুঝিয়ে দিতেন।
'এমন নয় এমন'।
আমাদেরও রাসুল স. কে ফলো করা উচিত।
,
হাজারো কর্মব্যস্ততা আর ঝামেলার ঝুড়ি মাথায় নিয়ে অফিস থেকে বাসায় ফিরে স্ত্রীর উপর রাগ ঝারবেন না।
অফিস থেকে এসে নরম ভাষায় কথা বলবেন।
প্রথমে সালাম দিবেন, কেমন আছে তা জিজ্ঞেস করবেন। কাছে টেনে নিবেন। বুকে জড়িয়ে ধরে লম্বা শ্বাস নিবেন।
তার গায়ের ঘ্রাণ শুকবেন। দেখবেন সারাদিনের ক্লান্তি মূহুর্তেই দূর হয়ে গেছে আপনি প্রফুল্ল হয়ে উঠেছেন।
ভালোবাসা বিনিময়ের পর অন্য কাজে যাবেন।
,
মাঝেমাঝে অফিসে যাওয়া বাদ দিবেন। ছুটি নিবেন। স্ত্রীর সাথে বাসায় সারাদিন সময় কাটাবেন। বাসার কাজে তাকে সাহায্য করবেন।
,
স্ত্রী রান্না করছে প্রচন্ড গরমের ভেতর। আর আপনি টিভির রুমে বসে বসে মজা মেরে টিভি দেখেছেন অথবা ঘরে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন।
না, এমন করবেন না।
বরং সব কিছু ফেলে রেখে পিছন থেকে গিয়ে স্ত্রীকে উঁচু করে ঘরে নিয়ে চলে আসুন, তারপর আপনি যান রান্না ঘরে। নিজে রান্না করুন। অনেক ব্যস্ততা থাকলে মাঝেমধ্যে গিয়ে আপনার স্ত্রীর কপাল থেকে ঘাম মুছে দিন এবং আপনার অনুপস্থিতির দরুন ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
,
সে একা একা বসে কাপড় পরিস্কার করছে আপনি বসে থেকেন না। তাকে পাঁজা করে ঘরে নিয়ে চলে আসুন
পুতুলের মতো উঁচু করে খাটে এনে বসিয়ে দিন। এবার আপনি গিয়ে পরিস্কার করতে বসে যান।
এতে আপনার স্ত্রী বসে থাকবে না। যখন সে বুঝবে আপনি তাকে প্রচণ্ড রকমের ভালোবাসেন তার কষ্টে আপনার কষ্ট হয়
তখন সে নিজেই গিয়ে আপনার সাথে কাপড় পরিস্কার করতে বসে যাবে।
আপনি এগুলো করলে আপনার কোনো সমস্যা হবে না বরং ভালোবাসাগুলোই বেঁচে থাকবে আজীবন।
,
সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগে আপনি নিজেই খাবার প্রস্তুত করে ফেলুন তারপর তাকে ঘুম থেকে ডেকে চমক দেখিয়ে দিন-আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন।
,
আর হ্যাঁ তার রান্নায় কখনো ভুল ধরবেন না। লবন কম হলে খাবার না খেয়ে উঠে যাবেন না, বেশী কথা শোনাবেন না তাকে।
বরং বুক ভরে প্রশংসা করুন।
অন্যদিনের তুলনায় একটু বেশী করে খাবেন।
,
তার প্রয়োজনের কথা কখনো ভুলে যাবেন না। আপনাকে বাসায় ফেরার সময় কী কী নিয়ে যেতে বলেছে সব মনে করে নিয়ে যাবেন। মনে না থাকলে লিখে নিবেন কাগজে।
আর চেষ্টা করবেন,
বলার আগেই তাকে তার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি গিফট করার!
বিনিময়ে পাবেন স্বার্থহীন ভালোবাসা।
,
খাবার টেবিলে বসে তাকে মুখে তুলে খাওয়ায়ে দিন।
মাঝেমধ্যে তাকে গোছল করিয়ে দিন, গায়ের ময়লা নিজ হাতে ডলে পরিস্কার করে দিন।
কান, নাক, চোখ ইত্যাদি জায়গাগুলির ময়ল পরিস্কার করে দিন নিজ হাতে।
দয়া করে ঘৃণার চোখে দেখবেন। এটা পৃথিবী স্বর্গ নয় আর সে মানুষ। ময়লা থাকবেই তাই ভালোবেসে পরিস্কার করে দিন। ভালোবাসায় কোনো ঘৃণা থাকেনা।
আপনি তাকে কোনো কারণ ছাড়ায় ভালোবাসেন।
আর মানুষ নিজের আত্মাকেই কারণ ছাড়া ভালোবাসে।
-বেঁচে থাকার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ায় করে যায়-
এজন্য আপনার স্ত্রী কেমন যেনো আপনার আত্মা, আপনারা দুজনে যেনো একটি সত্বা।
সুতরাং তাকে সাহায্য করা মানে নিজেকেই করা।
নিজের শরীর থেকে তাকে আলাদা ভাববেন না।
মনে রাখবেন, সে আপনার শরীরেরই একটি অংশ।
এজন্য নিজের শরীরের যেমন যত্ন নেন ঠিক তেমন তারও যত্ন নিন।
ভালোবাসুন।
পৃথিবী হোক ভালোবাসার।
ভালোবাসা হোক পৃথিবীর।
ইমাম হুসাইন।
২৮ এপ্রিল ২১।
দুপুর ১২ টা ১ মিনিট।
0 মন্তব্যসমূহ